সোমবার (২৫ ডিসেম্বর)২০২৩ইং জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে লিফলেট বিতরণকালে বলেন,বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন গাজী বলেছেন, 'আজ দেশে একটি প্রহসনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি আজকে নির্বাচনে নাই, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে নাই। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আছে, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকজন পার্টি জোগাড় করেছেন।
তিনি আরও বলেন,আমরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখেছি,সব জায়গায় শুধু নৌকার পোস্টার। এই যে একটা পাতানো নির্বাচন করছেন বাংলাদেশের জনগণ এ নির্বাচন মানে না,মানবে না।
প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করলে এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।এমন মন্তব্য করে রুহুল আমীন গাজী বলেন, এদেশ স্বাধীন হয়েছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
কিন্তু আজকে এদেশে আবারও গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হয়। ১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচন করেছেন। ১৮ সালে রাতে ভোট করেছেন। এখন আবার তামাশার নির্বাচন শুরু করেছেন। ডামি নির্বাচন শুরু করেছেন। এই নির্বাচন কেউ মানে না। এই নির্বাচন বন্ধ করুন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আলোচনায় বসেন। একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে শান্তি এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন।
অন্যথায় যদি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করেন সেটা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।
পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আমরা মানুষের ভোটাধিকারের জন্য রাজপথে এসে দাঁড়িয়েছি। এদেশে ৫৮ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু সে হত্যার বিচার হয় না। দেশে ভোট চলছে কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসতে পারছে না। আওয়ামী লীগের অধীনে যে দুটি নির্বাচন হয়েছে সেখানে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এখন আবার একইভাবে ক্ষমতা দখলের একটা রাজনীতি এ সরকার শুরু করেছে। জোর করে তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়। মানুষের গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে হরণ করা থেকে বেরিয়ে আসুন। নির্বাচন কমিশন থেকে যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে সেটা বাতিল করে সবাইকে নিয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। দেশকে সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা করুন।